মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'ভোকাল ফর লোকাল' প্রচার অভিযানে এই বছর দীপাবলিতে চিনাপণ্য ব্যবসায় (Diwali trade) প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে, সংস্থার সভাপতি বিসি ভরতিয়ার এবং মহাসচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়ালা বলেন, "সারা দেশে দীপাবলি এবং ধনতেরাসের পর্ব হল ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। ভারতীয় সমাজ এই বিশেষ উৎসব-পার্বণে প্রচুর কেনা-কাটা এবং ব্যবসায়িক লেনদেন করে থাকেন। এই বছর এই ব্যবসার আনুমানিক বাণিজ্যের পরিমাণ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।" আত্মনির্ভর ভারত, চিনকে আর্থিক ভাবে যে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে একথা বলাই বাহুল্য।
চিনা পণ্যে বিরাট ধাক্কা (Diwali trade)
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে এই বছর 'লোকাল ফর ভোকাল’ প্রচারের ফলে দেশীয় উৎপাদন এবং চাহিদার ব্যাপক প্রচার প্রসার ঘটেছে। চিনাপণ্যের বাজারে ভারতীয় আঞ্চলিক উৎপাদিত সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিনের ব্যবসায় বিরাট ধাক্কা লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। দীপাবলির ব্যবসায় (Diwali trade) আনুমানিক চিনের প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ক্ষতির কথা জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, চিনাপণ্যের এই বিপুল ক্ষতি কার্যত দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চিনাপণ্য বয়কটের ফলে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
'ভোকাল ফর লোকালে'র সাফল্য
'ভোকাল ফর লোকাল'-এর সাফল্যের কথা বলে, ভারতের কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে সভাপতি বিসি ভরতিয়ার, তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে পোস্ট করে মহিলাদের স্থানীয় উৎপাদিত সামগ্রীকে বেশি করে ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। সাধারণ নাগরিক সামজকে দেশীয় উৎপাদন, ব্যবসা (Diwali trade) এবং পণ্য ব্যবহার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে ‘লোকাল ফর ভোকাল’ প্রচার অভিযানের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ছোট মাটির প্রদীপ থেকে শুরু করে বুটিকের শিল্পের সামগ্রী দেশের স্বনির্ভরতায় উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রেখেছে, বলে মনে করছেন তিনি।
আত্মনির্ভর ভারত
অতিমারির সময় থেকে ভারতের কেন্দ্র সরকার 'আত্মনির্ভর ভারত' বিষয়ে বেশ উদ্যোগী হয়েছে। নিজেদের উৎপাদন, চাহিদা এবং বাণিজ্যের (Diwali trade) প্রসারের জন্য লোকাল ফর ভোকাল ধারণাকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা হয়। চিনা দ্রব্যের উপর নির্ভরতা কামাতে দেশীয় উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়। ভারত গত পাঁচ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন এবং যান্ত্রিক যন্ত্রপাতি রপ্তানিতে বেশ বৃদ্ধি করেছে। ভারত থেকে উৎপাদনের চাহিদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৩ % বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরে উল্টে চিনের ২৯% রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। ভারতের স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ৬৫% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যান্ত্রিক রপ্তানি ৭০ % বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত বিশ্ব ব্যাপী উৎপাদনে বিশেষ কৃতিত্ব রেখে চলেছে। আরও একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতের বর্তমান রপ্তানি টাকার পরিমাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২৩ বিলিয়ন বৃদ্ধিপেয়েছে। আর এই বৃদ্ধি ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৪৪% বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে একই সময় সীমার মধ্যে চিনের রপ্তানি ১০% হ্রাস পেয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours