Dinosaur Extinction: পৃথিবীর আদি জীবকূল ডাইনোসরদের ধ্বংস কার হাতে?

প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণু...
dinosaur-
dinosaur-

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতিকালে ডাইনোসরকূলের (Dinosaur) ধ্বংস নিয়ে পূণরায় আলোরন শুরু হয়েছে চীনা বিজ্ঞানীদের দ্বারা নতুন গবেষণার ফলাফল সামনে আসার পর থেকে। ২০২০ সালে চিনের Chang’e-5 মহাকাশযান দ্বারা চাঁদ থেকে কিছু নমুমা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনা হয়। এই নমুনাগুলি আমাদের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের পাশাপাশি পৃথিবী সম্পর্কে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশের  করে চলেছে। জানা গিয়েছে এই গ্রহাণুর হানাই ১৮ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের ধ্বংসের কারণ।
 চাঁদেও এই গ্রহাণুর যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে তার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা কর‍তে গিয়ে আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে, পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় উল্কাপিন্ডের প্রভাবগুলির সঙ্গে অবিকল মিল রয়েছে চাঁদে ঘটে যাওয়া গ্রহাণুর আঘাতের (asteroid strike)। 

[tw]

[/tw] 

জেনে নিন এই গ্রহাণুটি বিষয় কিছু তথ্য :

 আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণু (Asteroid)। গ্রহাণুটির আনুমানিক ব্যাস ছিল ১০.৬ থেকে ৮০.৯ কিলোমিটার।
এই গ্রহাণু এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে ইউকাটান উপদ্বীপের কাছে মেক্সিকোর চিকজুলুবে আছড়ে পড়ার সময় সমুদ্রকে উত্তাল করার পাশাপাশি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্ত সৃষ্টি করেছিল। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সময় পৃথিবী জুড়ে ভুমিকম্পের মতো তান্ডবলীলা শুরু হয়, ধ্বংস এই এক যুগের, পৃথিবীর বুকে নেমে আসে তুষার যুগের। অনেক গবেষকের মতে এই গ্রহাণু মানব সভ্যতাকে ত্বরান্বিত করেছিলো। 

জন্ম বৃত্তান্ত : 

এই গ্রহাণুর সৃষ্টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ থাকলেও একটি তথ্যের উপর বেশির ভাগ গবেষকের শিলমোহর পড়েছে। গবেষকদের মতে  মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝামাঝি স্থানে জন্ম হয়েছিল এই বৃহৎ গ্রহাণুটির। 

গবেষকদের থেকে প্রাপ্ত এই গ্রহাণুর চাঁদের উপর প্রভাবে সম্পর্কিত কিছু তথ্য :

কার্টিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা চাঁদ থেকে পাওয়া দুই বিলিয়ন বছর বয়সী মাইক্রোস্কোপিক কাচের টুকরোগুলো অধ্যয়ন করে জানিয়েছেন যে, মাইক্রোস্কোপিক কাঁচের টুকরোগুলো উল্কাপিণ্ডের প্রভাবের তাপ ও চাপ থেকে তৈরি হয়েছিল এবং তা চাঁদের মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলি দশ মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিলিমিটার পর্যন্ত আকারের হয় এবং সাধারণত গোলাকার ডিম্বাকৃতি বা ডাম্বেল আকার থাকে।
এই গবেষণার মূল লেখক অধ্য়াপক আলেকজান্ডার নেমচিন একটি বিবৃতিতে বলছেন যে, গবেষণায় তারা আরও দেখেছে যে, পৃথিবীতে বড় প্রভাবের ঘটনা যেমন ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে দেখা গিয়েছিল। তেমনই আবার Chicxulub Crater এর সঙ্গে অনেক ছোটখাটো কিছু প্রভাবও থাকতে পারে।

তবে একটাই আশার কথা ভবিষ্যতেও এমন কোনো  গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles