মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ ও গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন।” শনিবার কথাগুলো বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়। এদিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করেন দিলীপ।
'মহুয়াকে তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে'
মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “লোকসভার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একাধিক কমিটি রয়েছে। প্রিভিলেজ কমিটি রয়েছে। আমি তার সদস্য। লোকসভার কোনও সদস্যের কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি ওই কমিটিকে জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়, ডাকা হয়, সাক্ষী নেওয়া হয়। তাঁরা যদি কিছু করে কমপ্লেইন করেন, তার জন্য এথিক্স কমিটি রয়েছে। এথিক্স কমিটি সব কিছু বিচার করেছে। সবার সাক্ষী নিয়েছে।” তিনি বলেন, “মহুয়া মৈত্রকে ডেকে তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উনি কথা বলেননি, ওয়াকআউট করেছেন। সংসদের রীতি-নীতি এবং আইন অনুযায়ী সমস্ত প্রক্রিয়া হয়েছে। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পরে ভোট হয়েছে। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়েছে, তারপরে সেখানে সমাধান হয়েছে। যা হয়েছে, তা নিয়ম মেনেই হয়েছে। সুতরাং, যাঁরা চেঁচামেচি করছেন, তাঁরা অন্যায়ের পক্ষে, চোরের পক্ষে, দুর্নীতির পক্ষে কথা বলছেন।”
'আমাদের লজ্জা'
মহুয়াকে বহিষ্কারের দিনটিকে লজ্জার দিন বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “আমরাও বলছি, এটা সব চেয়ে লজ্জার দিন। একজন জনপ্রতিনিধি সংসদে ৩০-৩৫ লাখ লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর আচার-আচরণ, কথাবার্তা, জীবনচরিত উদাহরণ হওয়া উচিত। আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার যে বাংলার একজন মহিলা সদস্য চুরির দায়ে সদস্যপদ খুইয়েছেন।” চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সলমন খানের সঙ্গে নাচের তালে পা মিলিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ কী ওদের সঙ্গে নাচা? চা বাগানের লোকেরা খেতে পাচ্ছেন না। রেশন পাচ্ছেন না। ওঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বাড়ি বানিয়ে দিত। তিন প্রজন্ম ওখানে রয়েছে। অথচ আজও কিছু নেই তাঁদের। কেন এই অবস্থা হয়েছে? আর তিনি নেচে বেড়াচ্ছেন!”
আরও পড়ুুন: "উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!" মমতাকে কটাক্ষ লকেটের
মহুয়াকে বহিষ্কার করায় চটেছে কংগ্রেস। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। মমতা ব্যানার্জির যা কষ্ট হয়েছে, অধীর চৌধুরীর তার চেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে। কারণ ওঁদের এখন বাঁচা-মরার প্রশ্ন। তিনটে রাজ্যে হারের পর এবার চিৎ হয়ে গিয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন।” এর পরেই তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ ও গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours