মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ময়দানে নিজের নিজের বক্তব্য তুলে ধরছেন। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির গোঘাট থেকে একযোগে ভারত সেবাআশ্রম, ইসকন, এবং রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। মিশনের সন্ন্যাসীরা রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে প্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ পাল্টা আক্রমণ করেছেন। এবার একই ইস্যুতে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি মমতাকে বলেন, “পতন এসে গিয়েছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।”
কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?
রাজ্যের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ভাগবানই তাঁর মুখ দিয়ে বলাচ্ছেন। কারণ সমানেই তাঁর পতন এসে গিয়েছে। প্রথম দফায় ভোট থেকেই মমতা হারতে শুরু করেছে। আমরা ৩০ আসনে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। দিদিমণি নেমে ১৫ হয়েছেন। আর কত নামবেন জানি না। সিঙ্গেল ডিজিট হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক দফা ভোটের আগে তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের তাই গালাগাল দিচ্ছেন। আগেও তাঁর দলের কর্মীরা রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতিকে গালগাল দিয়েছেন। ধর্ম প্রতিষ্ঠান এবং সাধু-সন্তদের কুকথা বলেছেন। তাঁর পতনের সময় এসে গিয়েছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনের জমি সিল করল পুলিশ, হামলার নেপথ্যে কেজিএফ গ্যাং যোগ!
আর কী বললেন?
নির্বাচনী প্রচার সম্পর্কে মমতাকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “লোকসভার ভোটে সমস্ত কিছুর প্রতিফলন হবে। প্রত্যেক বাঙালি আগে হিন্দু তারপর সে বাঙালি। মমতার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কাকে কী বলছেন, ঠিক নেই। কট্টর মৌলবীদের দিয়ে রাজনীতি করাতে পারেন, একসঙ্গে নামাজ পড়ে ভোট নিতে পারেন। আর আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের রাজনীতি কি সংবিধানে নিষেধ আছে? আজকে বাংলায় হিন্দু সমাজ বিপদে। হিন্দু সমাজের মহিলারাও বিপদে। এ কথা সাধুরা কি বলবেন না? সাধুরা সর্বস্ব ছেড়েছেন ধর্ম রক্ষার জন্য। সমাজ রক্ষার জন্য বলতেই পারেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours