মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের প্রচেষ্টায় কিন্তু মোটেও ওজন কমানো যায় না। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন সময় এবং ধৈর্য্যের। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক সময়ে পরিমিত খাওয়া দাওয়া করা উচিত। প্রায় সকলের কাছেই শোনা যায় যে তিনি ডায়েট করছেন। কিন্তু সঠিক ডায়েট করার জন্য পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ও তা কঠোর ভাবে মেনে চলাও প্রয়োজন।
তবে নিম্নে কিছু প্রাথমিক টিপস দেওয়া হল তা মেনে চললে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কিছুটা হলেও সম্ভব।
ফ্যাট ডায়েট (Fat Diet)-
কম ফ্যাট যুক্ত খাবার এবং পানীয়গুলো বেছে নেওয়ার কারণেও কিন্তু ওজন কমাতে সমস্যা হতে পারে।একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, জলপাইয়ের তেল, মাছের মতো অসম্পৃক্ত উপাদানগুলি ওজন হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত। এই নিয়মটি মেনে চলা প্রয়োজন।
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য(High fiber food)-
ফাইবার হলো ফল, সবজি ও শস্যের এমন অংশ যা আমাদের পাকস্থলী হজম করতে পারে না। খাবারের এই অংশগুলো ক্যালরি, ভিটামিন অথবা মিনারেল বহন না করলেও, খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত ওজন, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও পাইলস এর মতো সমস্যা প্রতিরোধেও ফাইবারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যব বা ওটস ও বার্লি উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার। ওজন নিয়ন্ত্রণে যব মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
সামুদ্রিক খাবার (Sea Food)-
অনেকেই জানি সামুদ্রিক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে অনেকেই জানি না। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিনের বিশেষ উৎস পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে রয়েছে omega-3 ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন “এ” এবং ভিটামিন ‘ই’। ওজন কমানো ছাড়াও সামুদ্রিক খাবারে থাকা ওমেগা থ্রি বার্ধক্য লক্ষণ দূর করে।ত্বকের বলি রেখা, ব্রণ, পিগমেন্টেশ্যান, ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে।
এছাড়াও সামুদ্রিক খাবার চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ এবং ওমেগা-৩, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম (Almond)-
কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান থাকে। কাঠবাদামের উপকারী ফ্যাট শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অ্যার্টারিকে ক্ষতিকর প্রদাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।
ব্ল্যাক কফি(Black Coffee)- কফির মত পানীয়তে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করেন তাহলে সেটা আরও উপকারী। এতে কোনও রকম ক্যালোরি জমবে না শরীরে। তবে বেশি পরিমাণে কফি পান করা উচিত নয়। তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মনে রাখবেন, কোনও জিনিসই অতিরিক্ত ভাল নয়।
+ There are no comments
Add yours