Mental Hospital: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

ভাতের সঙ্গে নিয়মিত ডিম আর ডালও দেওয়া হচ্ছে না...
mental_hospital
mental_hospital

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ মাস খানেকের বাসিন্দা। আবার কেউ বছরের পর বছর পার হলেও থেকে গিয়েছেন। তবে, দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন, ওষুধ পেলেও পথ্য তথৈবচ! দু'বেলা পেট ভরে খাবারও জোটে না। এদিকে একাধিক স্নায়ুর সমস্যার ওষুধ (Medicine) খাওয়ার জন্য দেহের ওজনও কমছে। শরীর সুস্থ রাখতে দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু ভাতের সঙ্গে নিয়মিত ডিম আর ডালও দেওয়া হচ্ছে না।

সরকারি মানসিক হাসপাতালের অবস্থা...

রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) অবস্থা এই একরকম। প্রথমে কলকাতার পাভলভ মানসিক হাসপাতালে অভিযোগ উঠেছিল। অধিকাংশ রোগীর পরিজনের অভিযোগ ছিল, রোগীদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না (State Deprives Mental Patients)। মানসিক সমস্যার জন্য স্নায়ুর একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না। ফলে, রোগীরা শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। এক রোগীর পরিজনের কথায়, "ছেলেকে যখন ভর্তি করেছিলাম ৭২ কেজি ওজন ছিল। কয়েক মাস হাসপাতালে থেকে যখন বাড়ি যাচ্ছে, তখন ৪২ কেজি ওজন হয়েছে। কিছুই খেতে দেয় না।"

আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

পাভলভ কর্তৃপক্ষের একাধিক কাজে নানান অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি বদলি করা হয় পাভলভের সুপারকে। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সুপার বদলের নিদানেও পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতি। অন্তত রোগীর পরিজনদের এমনি অভিযোগ। পাভলভ মানসিক হাসপাতাল কোনও ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁরা জানান, রাজ্যের অন্যান্য মানসিক হাসপাতালেও পরিষেবা অত্যন্ত নিম্নমানের (State Deprives Mental Patients)। শুধু খাবারের নয়। অনেক সময়ই মানসিক রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীরা। পর্যাপ্ত পরিষেবা তাঁরা পান না। আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, মানসিক হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক কর্মীসঙ্কট। তাই অনেক রোগীকে একসঙ্গে দেখভাল করতে গিয়ে নানান সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, "পাভলভ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে সুপার বদল হয়েছে। তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অন্য কোনও হাসপাতালেও কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দফতর বিষয়টি দেখবে। "

দেশ জুড়ে মানসিক রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি করাই নয়, মানসিক রোগ নিয়ে চর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করেছে। এমবিবিএস কোর্স থেকেই যাতে চিকিৎসকেরা অবসাদ, মানসিক চাপ, বিষন্নতার মতো বিষয়গুলোর চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শী হয়ে, তার জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাছাড়া, মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যাতে আর্থিক সমস্যা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্যও একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগীদের ওষুধ ও খাবারের জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি মানসিক রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে নানান সৃজনশীল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র আর্থিক বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ পাঠাচ্ছে না। তাই রাজ্যের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। রাজ্যের উন্নতিতেও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যবাসীর একাংশের প্রশ্ন, কেন্দ্র যে অর্থ পাঠাচ্ছে, তা ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে তো? যে অর্থ আছে, তা ঠিক খাতে দেওয়া হচ্ছে? অন্তত মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) ক্ষেত্রে তার সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles