মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়ে দিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন মূল অভিযুক্ত সহ মোট দুজনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের ৩০২ ও ৬ পকসো এবং এসসি-এসটি অ্যাক্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এদিন আরও বলেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব (Raiganj Rape) ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। এগুলোয় কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিদিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
কী অভিযোগ উঠেছিল?
শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়ায় এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Raiganj Rape) করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি
শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর (Raiganj Rape) বাড়িতে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশকর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours