মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে (Train Accident) আহত দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাজেশ মান্ডি ও বিপ্লব হেমব্রমকে বালুরঘাটে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনল জেলা প্রশাসন। হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করে তাঁদের নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসইল কাসিম্বি গ্রামে। এঁরা সম্পর্কে জামাইবাবু ও শ্যালক। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। কাজ করে ফিরছিলেন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে। ছিলেন জেনারেল কম্পার্টমেন্টে। দুজনের মধ্যে একজনের পায়ে আঘাত লেগেছে, অন্যজনের হাত ভেঙেছে।
সেই মুহূর্তের কথা (Train Accident)
দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের (Train Accident) কথা মনে করলে এখনও কান্না ধরে রাখতে পারছেন না রাজেশ মান্ডি। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের কামরায় অনেকগুলি মৃতদেহের মধ্যে আটকেছিলেন তিনি। ওই বগিতে ৫০ জন বেঁচে ছিল। বাকিরা সবাই মৃত। কীভাবে তিনি ট্রেন থেকে মুক্তি পেলেন, তা মনে করতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে তাঁকে বার করার পর নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশার একটি হাসপাতালে এবং সেখানে চিকিৎসা করার পর নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। পরে হাওড়া হাসপাতাল থেকে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল জেলায়। এখন তাঁরা মোটামুটি সুস্থ। রেল পুলিশ, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম এই দুই আহত যাত্রীকে নিয়ে আসে এবং অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Train Accident)?
আহত যাত্রী বিপ্লব হেমব্রম ও রাজেশ মান্ডি বলেন, সেদিনের কথা মনে পড়লে কান্না পায়, ভয়ও লাগে। আমরা ব্যাঙ্গালোর থেকে কাজ করে যশবন্ত এক্সপ্রেসে করে বালুরঘাটে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ পরপর আমাদের বগিটা ধাক্কা মেরে অন্য দিকে চলে গেল। যখন ধাক্কা (Train Accident) লাগে, তখন আমরা ভাবছিলাম যে হয়তো আর বেঁচে নেই। তার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে আসতে দেখি, হাতে-পায়ে লেগেছে। আমাদের ওপর অনেক মৃতদেহ ছিল। তখন আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। ওড়িশা থেকে আমাদেরকে হাওড়ায় আনা হয়। সেখান থেকে এদিন আমাদের বালুরঘাটে আনা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours