মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani), এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। শনিবার আরও শক্তি বাড়িয়েছে দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপ। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ৮ মে, রবিবার ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ও (Cyclonic storm)। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘অশনি’। হাওয়া অফিসের মতে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে।
[tw]
A Low Pressure Area lies over South Andaman Sea & adjoining Southeast BoB at 0830 hours IST of today, .To move northwestwards and intensify into a Depression over southeast Bay of Bengal by 7th May evening and into a Cyclonic Storm over eastcentral BoB by 8th May evening pic.twitter.com/37GFGOH4Bt
— India Meteorological Department (@Indiametdept) May 6, 2022
[/tw]
তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গও। নিম্নচাপ আবহে ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ১০ মে থেকে মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যেতে বারণও করা হয়েছে। যে কোনও সময়ে দিক পরিবর্তন করে নিম্নচাপটি বাংলার দিকে ঘুরতে পারে ভেবে ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলি। তারই মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফ থেকে পাঁচটি আপৎকালীন ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করা হয়েছে। এক একটি দলে ২০ জন করে কর্মী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। প্রয়োজনে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?
মৎস্যজীবীরা যাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান, তার জন্য ইতিমধ্যেই ‘মাইকিং’ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মাইকে আপৎকালীন প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশের অনুমান। যে কোনও রকমের বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভেবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতল মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে নৌকা রাখা হয়েছে, যাতে বিপদগ্রস্তদের অতি সত্ত্বর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। দুর্গতদের থাকার জন্য একাধিক অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, গাছ ভেঙে পড়লে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
+ There are no comments
Add yours