মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর মানিক ভট্টাচার্য এবং সবশেষে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর তদন্ত শুরু হতে চলেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে বুধবার দুপুরে বারাসত জেলা আদালতে একটি মামলার সূত্রে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দুর্নীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি দায়ী করলেন। তিনি বলেন, গোটা দুর্নীতিটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের সচিবালয় থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো দু-নম্বরে ছিলেন। আমরা বারবার সওয়াল করেছি, সমস্ত কিছুর জন্যই দায়ী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিকাশবাবু। ফলে, তাঁর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন বর্ষীয়ান সিপিএম (CPM) নেতা?
মুকুল রায়কে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় অভিযোগ করেছিলেন। এর পিছনে বড় টাকার খেলা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। যদিও দিল্লিতে গিয়ে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, কেউ জোর করেনি। আমি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছি। বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করারও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব নিয়ে যখন তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখন তাঁর দিল্লি যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশবাবু আরও বলেন, মুকুল রায় কি এমনি এমনি দিল্লি গিয়েছেন। মুকুলকে মমতা (Mamata Banerjee) পাঠিয়েছেন। শরীর খারাপের যে কথা বলা হচ্ছে তা সবটাই নাটক। মমতাই তাঁকে পাঠিয়েছেন। আসলে তিনি চেষ্টা করছেন নিজেকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে। কারণ, তদন্ত যে জায়গায় গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের বাঁচার কোনও রাস্তা নেই, একমাত্র অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদির পায়ে ধরা ছাড়া। সেইজন্যই মুকুলকে এজেন্ট করে পাঠানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours