মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Poll)। অথচ ওই পদে প্রার্থী হতে রাজি নন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নিতান্তই রাহুল ওই পদে না বসলে দীর্ঘ দিন পর এবারই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন ওই পদে।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের জাতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। বয়সজনিত কারণ ও মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি চান এবার ওই পদে বসুন অন্য কেউ।
সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশ ওই পদে রাহুলকেই চাইছিলেন। তবে ওই পদে বসতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য কংগ্রেসেরই একটা অংশ রাহুলকে ওই পদে ফেরাতে মরিয়া। উনিশের ভোটের পর রাহুল ইস্তফাপত্র জমা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রাহুলও সাফ জানিয়ে দেন তিনি ওই পদে থাকছেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারেরই কাউকে বসতে হবে, এমন কথা নেই। তার পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া।
আরও পড়ুন : দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস
রাহুল না বলে দেওয়ায় ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। তার পরেই জল্পনা দানা বাঁধছে কয়েকটি নাম নিয়ে। এঁরা হলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দলের একটি সূত্রের খবর, ওই পদে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে বসানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেসের একটি অংশ। তবে প্রিয়ঙ্কাও রাজি না হলে সীতারাম কেশরির পর এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসবেন ওই পদে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কেশরি।
আরও পড়ুন : মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদলালেন রাহুল গান্ধীও!
+ There are no comments
Add yours