Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ
Environment_(1)
Environment_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পরিবেশ (Environment) বাঁচাতে কজনই বা এগিয়ে আসেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক, বিজেপির (BJP) শঙ্কর ঘোষ। উত্তরবঙ্গের মূল সৌন্দর্য হল ওই নদী আর বনজঙ্গল। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি জানতে পারেন, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি জঙ্গলে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব নয়।  বনজঙ্গল ধ্বংস করেই সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

শঙ্করবাবুর মূল অভিযোগ কী ? 

অভিযোগ, কোনওরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং বনজঙ্গল (Forest) ধ্বংস করে চলছে এই নির্মাণকার্য। এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের (Tourism) ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। লাটাগুড়ির এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Commercial Complex) বানানো নিয়ে তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গের বন আইন, পরিবেশ (Environment) আইন ইত্যাদি কিছুই মানা হচ্ছে না এই নির্মাণকার্যে। শুধু এটি নয়, আরও অনেক হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ হচ্ছে এইভাবেই, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। অপরদিকে তিস্তা নদীতে ক্রাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে পাথর তোলার কাজ চলছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপর এর থেকে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গে নদী ও বন বাঁচাতে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করা যাবে না। কোর এলাকায় পিচরাস্তা নির্মাণ হবে না। এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। এছাড়া বন্যপ্রাণ আইনও ভাঙা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বিধানসভাতে পর্যন্ত জানানো হয় ব্যাপারটি, কিন্তু তারপর ?

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শঙ্করবাবু নিজে বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানান। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চান, এই নির্মাণকার্যের ক্ষেত্রে পরিবেশ (Environment) দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা। কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি। এরপর আবার তিনি জেলাশাসককে চিঠি দেন। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে সেটি বনদফতরের কাছে রেফার করে দেন। সেখান থেকেও কোনও উত্তর আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবেশপ্রেমীদের একজোট করে এর প্রতিবাদে সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তাঁর এই অভিযোগের ব্যাপারে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী জানিয়েছেন ?

দুদিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ উঠতে তিনি বলেন, "শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বিষয়টি তোলেননি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ঠিক কথা বলছেন না। লাটাগুড়ির যে নির্মাণকার্য নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, সেটি কোর এরিয়ার মধ্যে নয়। তার আগে থেকেই সেখানে অনেক বাড়ি রয়েছে। আর গরুমারা হল অভয়ারণ্য। তাই সেখানে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নির্মাণ হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ওই নির্মাণ আমাদের এলাকায় হচ্ছে না, তাই এই নির্মাণকার্যে আমরা বাধা দিতে পারি না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles