মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার (Coal smuggling) কাণ্ডের তদন্তে নেমে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। কারণ তদন্তকারীদের প্রশ্নমালার মুখোমুখি হয়ে অনেকেরই স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে। অতীতের কিছুই আর মনে করতে পারছেনা তাঁরা। এমন ঘটনা ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) ক্ষেত্রেও। অন্তত সিবিআই-ইডি তদন্তের খোঁজখবর রাখছেন এমন একাংশের দাবি তেমনই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যাঁরা জানেন তেমনই এক বিশেষ সূত্রের দাবি, রুজিরা নারুলাকে চিনতে পারছেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়! সিবিআই এবং ইডির তদন্তকারীদের সামনে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে নাকি এমনই দাবি করেছেন অভিষেক-পত্নী।
বিষয়টি কেমন?
তদন্তকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন নিয়েই কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরার যোগসূত্র মিলেছে। কয়লাপাচারের মূলচক্রী অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশির সময় তাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের কয়েকটি রসিদ পাওয়া যায়। তার একটিতে দেড় লক্ষ ভাট (তাই মুদ্রা) জমা পড়ার কথা জানা গিয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটের আগে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারুইপুরের এক জনসভায় সেই ব্যাংক রসিদের ছবি সর্বসমক্ষে খিয়েছিলেন। (সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই রসিদের ছবি মাধ্যমের কাছেও রয়েছে। তবে তার সত্যাসত্য যাচাই করেনি মাধ্যম। যদিও ব্যাংককের ওই ব্যাংক রসিদটি ভুয়ো এমন দাবিও কখনও করেননি কেউ।)
আরও পড়ুন: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা
রুজিরা নারুলার নামেই সেই অর্থ জমা হয়েছিল বলে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছিলেন। তদন্তকারীরা সেই ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেন সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে সরকারি ভাবে সে সব নথি এখন ইডি-সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি। ওই অ্যাকাউন্টটি এখনও রয়েছে নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাও জানেন তদন্তকারীরা।
আর এখান থেকেই রহস্যের শুরু। ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রশ্নমালার মুখে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি জানিয়েছেন, তাঁর এমন কোনও অ্যাকাউন্টই নেই। ব্যাংককের ওই বিতর্কিত অ্যাকাউন্টটি কার, তা তিনি জানেন না। তদন্তকারীরা তাঁকে জানান, অ্যাকাউন্টটি রুজিরা নারুলার নামে রয়েছে। তাতে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর নামে ব্যাংককে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই।
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?
তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, অভিষেক পত্নীর পাসপোর্ট, ওসিআই কার্ড, ট্রাভেল ডকুমেন্ট থেকে স্পষ্ট রুজিরা নারুলাই হচ্ছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও কেন তদন্তকারীদের প্রশ্নমালার মুখে ব্যাংককের অ্যাকাউন্টের কথা অস্বীকার করছেন রুজিরা? এই গোলকধাঁধার জবাব মিললেই কয়লাকাণ্ডের তদন্ত চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছাতে পারে বলে তদন্তের গতি-প্রকৃতি জানা অনেকে জানাচ্ছেন।
+ There are no comments
Add yours