মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাটোর (NATO) সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়ে গিয়েছে ভারতের (India)। এটাই ছিল প্রথমবার। তবে ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা চলবে বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই বৈঠক হয়েছিল। শীঘ্রই আবার এ নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নয়াদিল্লি।
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল গড়ে ওঠে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ন্যাটো। এই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জানা গিয়েছে, ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের প্রথম বৈঠকে নয়াদিল্লির (New Delhi) তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকই হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ন্যাটোয় ভারতকে যুক্ত করতে আগ্রহী খোদ আমেরিকা (America)। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কয়েকটি দেশের কাছে ন্যাটোর সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক অংশীদারিতে কাজ করার প্রস্তাব দিতে চলেছে সামরিক এই জোট। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল ভারতও।
আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংসদ রো খান্না বলেন, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মূলক চুক্তি করতে চান ন্যাটো নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি চাই সেই তালিকায় যোগ হোক ভারতের নামও। সেটা হলে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়িত করতে সুবিধা হবে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। খান্না বলেন, দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। বিশেষত, চিন ও রাশিয়া খুবই আগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সমঝোতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।
আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের
রাজনৈতিক মহলের মতে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত প্রাসঙ্গিক। কারণ এর ভূরাজনৈতিক অবস্থান। সেই কারণেই ভারতকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের দেশ।
+ There are no comments
Add yours