মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক স্কুলে অঙ্ক এবং ইংরেজি পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি, বাঁকুড়ার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছিলেন পুলিশ সুপার। বাঁকুড়া পুলিশের (Police) এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সিভিক কর্মীদের পড়ানোর ব্যবস্থা নিয়ে বাংলার শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের অঙ্ক-ইংরেজি শেখাবে এটা একবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমবাংলার লজ্জা’। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।
সুকান্তের কটাক্ষ
সুকান্ত বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন। তিনি নিজে একাধারে শিল্পী, কবি, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী। ঠিক তাঁর মতোই রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়াররাও নানা ভাবে পারদর্শী। তাঁরা শিক্ষকতার কাজটা ঠিকঠাক করে দেবেন।" সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দিল্লিতে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, "এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হওয়ার পর তা বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। এই ধরনের উপদেশ কারা দেন বুঝতে পারি না। তাদের মুখগুলো দেখতে ইচ্ছে করছে। পড়ানোর মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে কী করে এত ছেলেখেলা হয় বুঝতে পারি না।"
পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘বিশেষ পাঠ’
দেড়শো জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিহ্নিত করে ফেলেছিল জেলা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, খাতড়া সাব ডিভিশনের ৫ টি থানার অন্তর্গত ৪৬টি স্কুলের প্রতিটিতে ২ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হবে। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধায় এই প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্কুল নয়, আপাতত গ্রামের কোনও এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। স্কুলের ক্লাসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি ‘সাপ্লিমেন্টারি ক্লাস’। অর্থাৎ, স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘বিশেষ পাঠ’ দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানাল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে ‘অঙ্কুর’ নামে যে কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ‘মানুষকে বিভ্রান্ত্র’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, ‘‘যদি এটা সত্যিই সাপ্লিমেন্টারি ক্লাস হয়, তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, যদি এমনটা হয় যে, স্কুলে শিক্ষক নেই বলে সেখানে পড়ানো হচ্ছে (সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে), সেটা ঠিক নয়। নির্দেশে তেমনটাই রয়েছে ঠিকই, বাস্তবে কী হচ্ছে সেটা দেখা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত পুরো শ্বেতপত্র পাঠানো।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যে কেউ শিক্ষক হতে পারেন। তবে তাঁর পড়ানোর যোগ্যতা থাকা উচিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours