মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বানচালের চেষ্টা তৃণমূলের (TMC)! শনিবার শুভেন্দুর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে না পারেন, তাই সভা ভন্ডুলের চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের।
তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন...
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁর সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সভা করবেনই। ট্যুইটারে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, পারলে ঠেকাও।
এদিন সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। এর পর শুরু হয় কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। লালপুরে অবরোধ চলে ঘণ্টাখানেক। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। হয় তীব্র যানজট।
কেবল পথ অবরোধেই থেমে থাকেননি অবরোধকারীরা। একটি বাসে করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলের দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আচমকাই সেই বাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় যাত্রিবাহী ওই বাসে। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে।
আরও পড়ুন: "শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন", 'প্রমাণ' দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু
এদিন সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে হটুগঞ্জ এলাকায়। এখানে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। এনিয়ে দু পক্ষে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় দোকানপাট ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসেও। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।
এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাধা দেওয়া হয় তাঁকেও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যেতে না পারেন, তাই একাজ করেছে তৃণমূল।
ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যেখানে তৃণমূল একটু দুর্বল, সেখানে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকানো হচ্ছে। অন্যত্র ওই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু বলেন, ভয় না পেলে এসব করবে কেন। আধ ঘণ্টার তো সভা করব। তিনি বলেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours