মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ মাস থেকেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের (Central Force for Election) প্রায় এক মাস আগে থেকেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করা হয়েছে তাঁদের। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনে ক্যাম্প করে রয়েছেন তাঁরা। আর ক্যাম্পের রান্নাঘরে সিআরপিএফ জাওয়ানদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জায়গায় করে নিয়েছে টাটকা তাজা সজনে ডাঁটা।
সজনে ডাটার বিভিন্ন পদ
বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। নির্বাচনী ডিউটি (Central Force for Election) করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বংলায়। আর বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। তাই সজনে ডাঁটা, আলু, বেগুন ও বড়ি দিয়ে পাতলা ঝোল হোক কিংবা আলু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন দিয়ে সজনে ডাঁটার শুক্তো অথবা সজনে ডাঁটার সর্ষে-পোস্ত বিভিন্ন স্বাদে জমিয়ে চলছে সজনে ডাটা খাওয়া।
গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে বাংলায়
গরমে টাটকা তাজা সবজির মধ্যে সজনে ডাঁটা অন্যতম। গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে (Central Force for Election) বাংলায়। আর সজনে ডাঁটার পুষ্টিগত গুণও নেহাত কম নয়। শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তাই সজনে ডাঁটাকে আপন করে নিয়েছেন জওয়ানরাও। পাঞ্জাবের সুরিন্দর সিংই হোক বা ঝাড়খণ্ডের যশ পান্ডে অথবা বিহারের রাজেশ কুমার, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা এই জাওয়ানদের কাছে সজনে ডাঁটার স্বাদ অবশ্য একেবারেই নতুন। তাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনের সামনের বাজারে সকাল হলেই ভিড় জমিয়ে নানা শাক সবজি ব্যাগ ভর্তি করে কিনছেন তাঁরা। লাল শাক, বেগুন, পাট শাকের সঙ্গে বাজারের তালিকায় অবশ্যই থাকছে সজনে ডাঁটাও।
৮৬ জনের কোম্পানিতে রয়েছে, নাপিত-ধোপা-রাঁধুনিও
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে জওয়ানদের মধ্যে ২ জন রাঁধুনি, একজন সাফাইকর্মী, একজন ধোপা ও একজন নাপিত রয়েছেন (Central Force for Election)। সকলে মিলে ৮৬ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডান্ট হিসেবে আছেন সুরিন্দর। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ক্যাম্পে রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন বিহারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার। তাঁর হাতেই এখন বাংলার নিজস্ব সজনে ডাঁটা এবং অন্য শাকসবজি সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। টাটকা রান্না করা সবজিতেই এখন মজেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা।
কী বলছেন জনৈক জওয়ান
রান্নার দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজেশ কুমার জানায়, "রোজ মেনু চার্ট মেনেই রান্না করা হয়। তবে আলিপুরদুয়ারে কিছুদিন ধরে সজনে ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের শাকও রান্না করছি। এগুলো খেতেও খুব স্বাদ। জওয়ানরা চেটেপুটেই খাচ্ছেন।" উল্লেখ্য জওয়ানদের কেউ গুজরাট, কেউ পাঞ্জাব কেউ বা হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে বাঙালি খাবারের সঙ্গে তাঁদের দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও তপ্ত গরমে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের ক্যাম্পের হেঁসেলে জায়গা করে নিয়েছে সজনে ডাটা। অর্থাৎ অবাঙালি জাওয়ানদের কাছে এখন হিট টাটকা তাজা সজনে ডাটা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours