মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা। দেশের বিভিন্ন তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৫০ ডিগ্রির কাটা। ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই ফেব্রুয়ারিতে সিমলায় তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় গিয়েছে। অন্যদিকে গুজরাট-মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি উপস্থিত হয়েছে। এরই মাঝে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
তাপপ্রবাহ নিয়ে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তাপপ্রবাহ কবলিত রাজ্যের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৩-এ পৌঁছেছে। গত এক শতাব্দীর মধ্যে ২০২২-এর মার্চ ছিল উষ্ণতম। তাপপ্রবাহের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসল, ঘটছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও।
নির্দেশিকায় কী বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক?
তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। লু থেকে বাঁচতে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, তৃষ্ণা না থাকলেও প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ব্যবহার করতে হবে ওআরএস। লবন দিয়ে ঘরে তৈরি লেবুর জল, লস্যি, ফলের রস খেতে হবে। অন্যদিকে অ্যালকোহল, চা, কফি, ঠাণ্ডা পাণীয় এবং প্রচুর চিনি থাকা পাণীয় খাওয়া যাবে না। এছাড়াও এই সময় উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার এবং বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পার্ক করা গাড়িতে কোনও শিশু কিংবা পোষ্যকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে তীব্র গরমের সময় রান্না করা এড়িয়ে চলতে হবে। রান্নার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি কাটাল দেশ! ২০২৩-এর গ্রীষ্মকাল কেমন হতে চলেছে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে পাতলা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরতে হবে। এছাড়া ছাতা, টুপি, তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। সরকারের তরফে আবহাওয়ার খবর শুনতে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের রেডিও-র খবর শোনার, সংবাদপত্র পড়ার এবং টিভি দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাঁরা পারবেন, তাঁরা আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইটও দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন: এখন থেকে মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে আরপিএফ
হাওয়া বাতাস যেখানে বেশি খেলে সেখানেই থাকা বাঞ্ছনীয় (Heatwave)। এছাড়াও বাড়িতে ভিতরে শীতল জায়গায় থাকতে হবে। সরাসরি সূর্যের তাপ কিংবা তাপপ্রবাহ এড়িয়ে যেতে হবে। দিনের বেলায় বাড়ির যেসব দিকে রোদ আসে, সেইসব দিকের জানলা এবং পর্দা বন্ধ রাখতে হবে। সন্ধে কিংবা রাতের দিকে যেসব বাইরের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, সেই সময় এইসব জানলা-পর্দা খুলে দিতে হবে। যাঁদেরকে বাইরে বেরোতেই হয়, তাঁরা সকাল ও সন্ধেয় কাজ সারার চেষ্টা করতে হবে, কিংবা সেইরকমের পরিকল্পনা করতে হবে। দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টের মধ্যের সময়কে এড়িয়ে চলতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট শিশু, গর্ভবতী মহিলা, যাঁরা বাইরে বেরিয়ে কাজ করেন, যাংদের মানসিক রোগ রয়েছে এবং যাঁরা হৃগরোগ কিংবা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, তাঁদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours