মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে মানুষ পথে বের হতে পারছেন না। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর তদন্ত কিন্তু থেমে নেই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলার শিকড়ে পৌঁছতে ঠা ঠা রোদের মধ্যেও সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূলের এক বিধায়কের বাড়িতে। বাড়ির দরজা বন্ধ করে চলল জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। তল্লাশি চলে তাঁর অফিসেও। যাঁর বাড়িতে এই তল্লাশি চলল, তিনি হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্চার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে জড়াল তৃণমূল বিধায়কের নাম
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। উঠে আসে তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়। উঠে আসে কৌশিক ঘোষ বলে একজনের নাম, যিনি আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে সিবিআই। শুধু তাই নয়, কৌশিকের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতার নানা প্রমাণও সিবিআই-এর হাতে আসে। সিবিআই জানতে পারে, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং কৌশিক ঘোষ-দুজনে মিলেই চাকরি বিক্রির একটা চক্র গড়ে তুলেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, তাদের মধ্যে জীবনকৃষ্ণ সাহার আত্মীয় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কৌশিকের আত্মীয়রাও। প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সিবিআই জানতে পারে কৌশিক ঘোষের নাম। আর তাঁর নাম উঠতেই স্বাভাবিকভাবে চলে আসে তৃণমূল বিধায়কের নাম। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে এদিনের এই সিবিআই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল বিধায়কের
এদিন অভিযান চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় কৌশিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। ফলে কারও সঙ্গে ছবি দেখালে এটা প্রমাণ হয় না, ওই ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ। যদিও এলাকার মানুষের দাবি, দুজনের ঘনিষ্ঠতার কথা কারোরই অজানা নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours