মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur Violence) ইস্যু বাদ যায়নি প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লা ভাষণেও। চলতি বাদল অধিবেশনে লোকসভায় মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার পরে মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর (Manipur Violence) এবং অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে তৎপর প্রশাসন।’’ এবার মণিপুরের হিংসা এবং মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত করতে টিম গঠন করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
৫৩ জনের সিবিআই টিম
জানা গিয়েছে, ডিআইজি পদমর্যাদার দুইজন মহিলা আধিকারিক রয়েছেন এই টিমে। ৫৩ জনের অফিসারের এই টিমে ২৯ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। ১১টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করবে এই টিম। সবগুলিই মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত। এই ১১টি মামলার মধ্যে গণধর্ষণের মামলা তিনটি রয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা রয়েছে ৫৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার গোপনাঙ্গের লাথি মারার। এই অভিযোগ এক সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। ৪টি মামলা আছে গণহিংসার (Manipur Violence)। যার মধ্যে তিনটি মেইতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে এবং একটি কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে দুটি গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, তৃতীয় গণধর্ষণের মামলাটিতে ৭ জন ব্যক্তি যার মধ্যে একজন নাবালক ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। গত ৪ মে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানোর যে ভিডিও ভাইরাল হয় সেই মামলায় (Manipur Violence) গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। সূত্রের খবর, এটাই হল এমন একটি তদন্ত টিম যেখানে সবথেকে বেশি সংখ্যায় মহিলা অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এবং সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তের ফরেন্সিক রিপোর্ট যেন দিল্লি থেকেই করানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও চলতি মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, ‘‘ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর।’’ এবং তিনি কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের নেতাদের আবেদনও জানিয়েছিলেন আলোচনা টেবিলে বসার জন্য।
৩ মে থেকে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে থেকে কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত গত তিন মাস ধরে চলা সংঘর্ষে ১৫০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। গৃহে অগ্নিসংযোগ, মহিলাদের উপর নির্যাতন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। গত ৪ মে থেকেই রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় জিনিসপত্রের দামও সেখানে হু হু করে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতির মোকাবিলা (Manipur Violence) করতে সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন। ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজও ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours