মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের
বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর রহস্যময় মৃত্যু হয়। একদিকে সিবিআইয়ের দাবি, লালন 'আত্মহত্যা' করেছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
এদিন আাদালতে এ নিয়ে একটি বিশেষ আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জিতে ওই আইনজীবী আবেদন করেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানান তিনি। সব্যসাচীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আজ অথবা আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার, এই ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। কারণ লালনের মৃত্যুর পরে গতকাল রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আজ সকালেই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। ফলে তদন্ত শুরু হলেও পরে এই মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়াল। ফলে এই ঘটনায় আদালত থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার।
+ There are no comments
Add yours