মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি উঠল। কমিশনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের দাবি, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করা হোক। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।
এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি...
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসির সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও আবার ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় (WB School Service Commission) যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। তার পরেই কমিশন ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রথমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাতিল করে নিয়োগপত্র।
আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?
কমিশনের (WB School Service Commission) এই ১৭ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের এই ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই ধারায়ই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরি প্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours