মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর এনওকে বা নমিনি (Next Of Kin Rule) নিয়ম পরিবর্তনের আর্জি জানালেন অকাল প্রয়াত সেনা ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের (Captain Anshuman Singh) বাবা-মা৷ গত বছর সিয়াচেনে এক অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন অংশুমান। সম্প্রতি মরণোত্তর কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয় তাঁকে।
নমিনি নিয়মে বদলের দাবি (Next Of Kin Rule)
সম্প্রতি নিহত ক্যাপ্টেনের (Captain Anshuman Singh) বাবা রবি প্রতাপ সিং এবং মা মঞ্জু সিং বলেন, "আমরা চাই সরকার সেনার নমিনির নিয়মগুলি (Next Of Kin Rule) পুনর্বিবেচনা করুক। এর ফলে নিহত সেনার অভিভাবকদের কষ্ট করতে হবে না।" তাঁদের কথায়, একজন সৈনিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরবর্তী উত্তরাধিকার হিসেবে যে মানদণ্ড রয়েছে তা পরিবর্তন করা জরুরি। তাঁরা জানান, অংশুমান নিহত হওয়ার মাত্র পাঁচ মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের পর অংশুমানের সবকিছু তাঁর স্ত্রীকে নমিনি করে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে অংশুমানের স্ত্রী তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন না। অংশুমানের বাবা-মা থাকেন লখনউয়ে। শহিদ সেনা ক্যাপ্টেনের বাবা-মায়ের কথায়, "বৌমা আমাদের সঙ্গে থাকেন না। ছেলের মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকারের সব সুবিধা সে পায়। আমাদের কাছে ছেলের শুধুমাত্র একটি ছবি আছে। আমরা প্রতিদিন তাতে মালা দিই, আর সব যন্ত্রণা বুকে চেপে রাখি। অংশুমানের সেই ছবিই আমাদের সম্বল।"
এনওকে বা নমিনির নিয়ম (Next Of Kin Rule)
নিয়ম অনুযায়ী, যখন একজন অফিসার সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, তখন তাঁর পিতামাতা বা অভিভাবকদের নাম নমিনি (Next Of Kin Rule) হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। যখন সেই অফিসার বিয়ে করেন, তখন ব্যক্তির স্ত্রীর নাম পিতামাতার পরিবর্তে ব্যক্তির নিকটাত্মীয় হিসাবে রেকর্ড করা হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসার চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন ওই নমিনি।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি
অংশুমানের সঙ্গে কী ঘটেছিল (Captain Anshuman Singh)
২০২৩ সালের ১৯ জুলাই, সিয়াচেন হিমবাহের কাছে অবস্থিত সেনা ক্যাম্পে বিধ্বংসী আগুন লাগে। নিজের জীবন বাজি রেখে সহকর্মীদের বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং (Captain Anshuman Singh)। সহকর্মীদের বাঁচাতে পারলেও, নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ক্যাপ্টেন। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক্যাপ্টেন অংশুমানকে মরণোত্তর কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয়। এখন সরকারের কাছে নিহত ক্যাপ্টেনের বাবা-মায়ের একটাই দাবি, স্ত্রীর পাশাপাশি বাবা-মাকেও সেই সুবিধা দেওয়া উচিত। নিহতের উপর যাঁরা যাঁরা নির্ভরশীল তাঁদের মধ্যে নমিনির অর্থ ভাগ করে দেওয়া জরুরি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours