Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

'পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না...'
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তদন্তে যুক্ত রয়েছেন ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্র। শুক্রবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

ইডিকে নির্দেশ আদালতের

আদালত জানিয়েছে, ইডির তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র শুনানিতে হাজির হয়ে যে জবাব দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ইডিকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, অবিলম্বে সব রকম তদন্ত থেকে অব্যাহতি দিতে হবে মিথিলেশকে। তাঁর জায়গায় যোগ্য অফিসারকে বহাল করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

'তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই'

নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই মামলার তদন্তে ছিলেন মিথিলেশ (Calcutta High Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্ট দেখে সোমবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে, ইডির এই ধরনের তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই। এই গতিতে তদন্ত করে কি আপনারা আসলে তথ্য লোপাটের সুযোগ করে দিতে চাইছেন? আদালত কিন্তু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে।”

আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মিথিলেশ। এদিন এজলাসে ইডির জমা দেওয়া রিপোর্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তাঁর প্রশ্ন, “এই ধরনের তদন্ত করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কি ইডি অফিসারদের আদৌ রয়েছে? আদালতের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মনে হচ্ছে, আপনারা কিছু গোপন করতে চাইছেন।”

অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে বিচারপতি সিনহা মিথিলেশকে প্রশ্ন করেন, “সম্পত্তির খতিয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাত্র তিনটি বিমা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বিমাগুলি কত টাকার, তাও উল্লেখ নেই। উনি একজন সাংসদ। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখ নেই। এসব আপনাদের চোখে পড়েনি?” ইডির আধিকারিক (Calcutta High Court) বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই আদালতে পেশ করা হয়েছে।” এর পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা কি পোস্ট অফিস? যা দেওয়া হল, সেটাই পাঠিয়ে দিলেন? কীভাবে তদন্ত করতে হয়, আদালতকেই কি সেটা বলে দিতে হবে?”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles