মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমার বিদায়ের দিন। শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা আমি আপনাদের বলতে চাই, সেটা হল আমি আরএসএসে ছিলাম, সেই সংগঠনেই ফিরে যেতে প্রস্তুত। আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।” অবসরের দিনে কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ।
'আমার যাবার সময় হল'... (Calcutta High Court)
এদিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা, ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরাও। বিদায়ের দিনে সেখানেই তিনি তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা জানান। কোনও কাজে অথবা কোনও সাহায্যের জন্য আরএসএস তাঁকে ডাকলে তিনি তা করতে সক্ষম বলেও জানান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
আরএসএসের শিক্ষা
আরএসএসে থেকে তিনি যে অনেক কিছু শিখেছেন, এদিন তাও জানাতে ভোলেননি ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বলেন, “আমি এই সংগঠনের (আরএসএস) কাছে বিভিন্নভাবে ঋণী...শৈশব থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, পুরো যৌবনও কেটেছে সংগঠনেই। এই সংগঠন আমায় সাহসী হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ন্যায়নিষ্ঠ হতে। সবার প্রতি সমদৃষ্টি দিতে শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি পাঠ দিয়েছে দেশপ্রেমের, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার।” তিনি জানান, যে পেশায় তিনি এতদিন ছিলেন, সেই পেশার কারণেই এতদিন সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর।
আর পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল
বলেন, “দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও সুবিধা নিতে সংগঠনের সদস্যপদ আমি ব্যবহার করিনি। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আমি সমস্ত বিচারপ্রার্থীকে সমদৃষ্টিতে দেখেছি। বিচারের সময় কখনও ভাবিনি তিনি কমিউনিস্ট, না বিজেপি, না কংগ্রেস, না তৃণমূল।” তিনি বলেন, “আমার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি কখনও কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি মনে করি, বিচার করতে গিয়ে আইনকে নত করা যায়, কিন্তু বিচারপতিকে নয়।”
আরএসএস ডাকলে তিনি যে আবারও সংগঠনে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তাও জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দাশ। বলেন (Calcutta High Court), “আমার জীবনে আমি কখনও কোনও অন্যায় কিছু করিনি। আমি যে ওই সংগঠন থেকে এসেছি, তা বলার মতো সাহস আমার রয়েছে। কারণ এটাও তো কোনও অন্যায় নয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours