WB Governor: বাংলার নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

এর আগে সিভি আনন্দ বোস মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদে ছিলেন।
WB_Governor
WB_Governor

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হলেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হচ্ছে।" তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপাল পদে যোগ দেননি তিনি। আনন্দ বোস রাজ্যপালের পদ গ্রহণ করলেই, অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনের মেয়াদ শেষ হবে।     

 

 

কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গড়েন তিনি। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ। এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি       

সরকারি আমলা থেকে রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকতা থেকে সরকারের উপদেষ্টা, বার বার নিজেকে ভেঙে গড়েছেন সিভি আনন্দ বোস। ইংরাজি, হিন্দি, মালয়ালি একাধিক ভাষার সাহিত্যে তাঁর অবদান রয়েছে। 

কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন আনন্দ বোস। নিজের শিক্ষাজীবনে ১৫টি স্বর্ণ পদক পেয়েছেন তিনি। সুবক্তা হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পর পর তিন বছর সেরা ব্যক্তির স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী আইএএস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতেও বিতর্ক সভায় প্রথম হয়েছিলেন আনন্দ।    

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

 

 

        

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles