Brazil: ব্রাজিলের সেনা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নয়া রাষ্ট্রপতি, কেন জানেন?

তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে জেনারেল টমাস মিগুয়েল রিবেইরো পাইভাকে...
brazil_prez
brazil_prez

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই ব্রাজিলের (Brazil) রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়েছেন লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা (Lula Da Silva)। ক্ষমতায় এসে প্রথম যে কাজটি তিনি করলেন, সেটি হল সেনা প্রধানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। শনিবার (ব্রাজিলের স্থানীয় সময়) দেশে বিদ্রোহ করার অভিযোগে সেনা প্রধান জুলিও সিজার দি আরুডাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দ্য আইরিশ নিউজের খবর থেকেই মিলেছে এই তথ্য। এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জুলিও সিজার দি আরুডার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। জানুয়ারির ৮ তারিখে তিনি রাজধানীতে হিংসায় মদত দিয়েছিলেন। দ্য আইরিশ নিউজের খবরটি যে মিথ্যা নয়, তা জানা গিয়েছে ব্রাজিলিয়ান আর্মড ফোর্সের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকেও। ওই ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, জুলিও সিজার দি আরুডাকে সেনা প্রধানের পদ (Brazil) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে জেনারেল টমাস মিগুয়েল রিবেইরো পাইভাকে। এর আগে টমাস ছিলেন সাউথ ইস্ট মিলিটারি কমান্ডের প্রধান।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি...

সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা কার্যত তাণ্ডব চালায় রাজধানীতে। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক সরকারি বাসভবনে। ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেসে হামলা চালানোর পর বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ করে প্রেসিডেন্টের প্যালেস। পরে তারা হামলা চালায় সে দেশের সুপ্রিম কোর্টেও। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি তারা ধ্বংস করে ব্যক্তিগত সম্পত্তিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় সেনাকে।

আরও পড়ুুন: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে

ব্রাজিলের নয়া প্রেসিডেন্টের সন্দেহ, দেশে যে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে আর্মড ফোর্সের মদত। তার জেরেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভূতপূর্ব সেনা প্রধানকে। প্রেসিডেন্টের (Brazil) অফিস থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, নিরাপত্তার কারণে সেনা অফিসারদের সরিয়ে দেবে ফেডারেল পুলিশ। দ্য আইরিশ টাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন জনসভায় লুলা বলেছেন, সম্প্রতি দেশে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে, তার নেপথ্যে অবশ্যই ছিল আর্ডম ফোর্সের মদত। দেশে যেদিন হিংসার ঘটনা ঘটে, সেদিন এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (Brazil) এই ঘটনার সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে আমেরিকার। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে হিংসার ঘটনা ঘটায় জনতার একাংশ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটে হেরে যাওয়ার পরে তাঁর সমর্থকরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles