মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুরে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে জেলা জুড়ে এক ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি চলাকালীন পটাশপুরে অবরোধকারীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের সেই লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পটাশপুরের দাইতলা বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথসভার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ সভা শেষ করতে হয় বিজেপিকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরই সভা থেকে ফেরার সময় পটাশপুর বাজারের কাছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পটাশপুরে।
এদিনের প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কী বললেন?
রবিবার বিকেলে পটাশপুরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা রাজ্য চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যবাসী পার্থ-অর্পিতার, কেষ্ট-সুকন্যার খেলা দেখেছেন। একইসঙ্গে মানিক-জীবনকৃষ্ণের খেলা সকলে দেখেছেন। শুধু পিসি-ভাইপোর খেলাটা বাকি রয়েছে, ওটাও হয়ে যাবে। এই রাজ্যে বিচারব্যবস্থা দুর্নীতির মূল উত্পাটন করতে চাইছে। কোনও বিশেষ বিচারপতি বা আইনজীবী নয়, সমগ্র বিচারব্যবস্থা এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমার বিরুদ্ধে এই সরকার ৩০টি মামলা করেছে, সাতবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু, হতাশ হয়ে ফিরেছে। আজ আইনকে সম্মান জানাতেই আমি সভা করলাম না। আগামী রবিবার এই পটাশপুরে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিরাট জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari) ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours