মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন...
গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।
সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর...
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক'টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours