মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই রায়গঞ্জ হাসপাতালে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতৃত্ব। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ বিজেপি নেতৃত্বরা এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন। গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সহ কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি-র কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিকেলের (BJP) পর বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত এবং পুলিশের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বনধ সফল করার জন্য উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি।
পুলিশের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে যান। সেখানে কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজবংশী, নমশূদ্র এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ওপর বারে বারে এই ধরনের আক্রমণ হচ্ছে। এটা নিন্দার কোনও ভাষা নেই। কালিয়াগঞ্জ থানায় তাণ্ডবের পর মুখ্যমন্ত্রী দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তারপরই ওদের রেজিস্ট্রার গুন্ডা পুলিশ এই কাজ করেছে। যে অভিযোগে বিজেপি-র (BJP) সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ, সে সেদিন থানার ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিল না। তৃণমূলের উপ প্রধানই সে কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন। এটা নিন্দনীয় ঘটনা। বিজেপি (BJP) এর বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্রতর করবে। আর রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সার্বিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। এনআইএ তদন্ত হলে ভাল হয়। আর দলীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের যেখানে বাড়়ি, সেখানে কাঁটাতার পেরিয়ে যেতে হয়। পুলিশ বিএসএফের অনুমতি নিয়ে সেখানে গিয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours