Bengal Police: মুম্বই গিয়ে তোলা চাইছেন রাজ্য সিআইডি কর্তা! অভিযোগ দায়ের ব্যবসায়ীর

Kolkata Police: মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর থেকে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিক-সহ মোট ৪ জন।
2020_9largeimg12_Sep_2020_113354990
2020_9largeimg12_Sep_2020_113354990

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও শাসকদলের হয়ে কাজ করা, কখনও তোলাবাজি, আবার কখনও আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার-এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে রাজ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে (Bengal Police)। আর এবার রাজ্যের সিআইডি (CID) কর্তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হল মুম্বইয়ে। অভিযোগ উঠেছে যে, মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর থেকে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিক-সহ মোট ৪ জন। এমনকি, ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি। যদিও সিআইডি সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ীর অভিযোগ ভিত্তিহীন, তাই এই বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তোলাবাজির অভিযোগ সিআইডি কর্তার বিরুদ্ধে

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যবসায়ীর নাম জিতেন্দ্র নাভলানি। তিনি মুম্বইয়ের ওরলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন (Bengal Police)। জিতেন্দ্র অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি বিভাগের এক কর্মী সহ ৪ জন তাঁর থেকে জোর করে টাকা আদায় করেছেন। এই সিআইডি কর্তার নাম রাজর্ষি ব্যানার্জি। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রীকে খুন করারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, মে মাসে কলকাতার রানিগঞ্জে একটি নাকাবন্দির সময় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৩.০২ কোটি টাকা জব্দ করার পর থেকে আরও টাকা জোর করে আদায় করা শুরু করেন। এরপর কলকাতা পুলিশের তরফে জারি করা লুক আউট নোটিসের ভিত্তিতে হঠাৎ তাঁর স্ত্রীকে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয়। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসারও হুমকি দেওয়া হয়।

নাভলানির আইনজীবী যাদব জানিয়েছেন, "তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে যখন এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তখন কলকাতা সিআইডি পুলিশ নাভলানি এবং তাঁর স্ত্রীকে কোনও নোটিশ দেয়নি এবং লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল৷ এরপর কলকাতা সিআইডি অফিসার তাঁকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷" আরও অভিযোগ উঠেছে যে, জামিনের জন্য ১০ কোটি আদায় করেছিলেন ও পরে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২০ লক্ষ টাকা জোর করে আদায় করেছেন সিআইডি অফিসার রাজর্ষি ব্যানার্জি (Bengal Police)।

এখানেই শেষ নয়, নাভলানির আইনজীবী যাদব জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (Bengal Police) নাভলানির এক বন্ধু অরুণাভ অধিকারীকে নাভিলানির বিরুদ্ধে প্রতারণা করার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করেন। পরে যদিও যাদব দাবি করেছেন যে, অধিকারী পরে এফআইআর বাতিলের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।

ওরলি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা মামলাটি তদন্ত করছি।" সিআইডি অফিসার সহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০বি, ৩৮৪ ও ৩৮৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের (Bengal Police) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের মধ্যে বাংলার সিআইডি কর্তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির গুরুতর অভিযোগ ওঠায় রাজ্য জুড়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে সরকারি তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles