Anubrata Mondal Aide: রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

Cattle Smuggling Case: কেষ্টর ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধানে জোরকদমে চারদিকে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই...
rajib-2_(1)
rajib-2_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের (Rajib Bhattacharya) পেশ করা নথি যত পরীক্ষা হচ্ছে, ততই যেন নতুন নতুন চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling) অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই সহযোগীকে দীর্ঘ জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। জমা দিতে হয়েছে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত হিসেবনিকেশও। আর তা পরীক্ষা করতে গিয়েই বেরিয়ে আসছে একের পর এক ‘গুপ্তধন’। 

সিবিআইয়ের হাতে এসেছে রাজীবের চালকল সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট। তাতে দেখা গিয়েছে, সেই সময় অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলকে অগ্রিম বাবদ ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে , ওই একই সময়ে, আরেক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে? এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে কেন ব্যবসায়িক লেনদেন করা হয়েছিল? ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়া ও দেওয়া হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। 

আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে, রাজীবের পেশ করা তাঁর সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট দেখে সিবিআই জানতে পারে যে, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। কী কারণে সেই টাকা হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছিল, তা উল্লেখ ছিল না নথিতে। এমনকী, সূত্রের খবর, রাজীবকে প্রশ্ন করেও এই নিয়ে সদুত্তর মেলেনি। তবে, জানা গিয়েছে, ওই একই সময়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ছবি মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ছবির চিকিৎসার খরচই মিটিয়েছিলেন রাজীব। তেমনটা হয়ে থাকল, কেন?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কেষ্টর সবকটি রাইস মিলের ‘অপারেটর’ হচ্ছেন এই রাজীব। জানা গিয়েছে, একসময়ে বীরভূমের ছোট চাল ব্যবসায়ী ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই আচমকা উল্কার বেগে তাঁর উত্থানের শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সম্পত্তি মালিক হন তিনি। বর্তমানে রাজীবের আওতায় ৭টি রাইস মিল রয়েছে। 

আরও পড়ুন: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

আবার ঘটনাচক্রে, অনুব্রতর ছত্রছায়ায় রাজীবের মতোই উল্কার উত্থান হয়েছে বিদ্যুৎ গায়েনেরও। ছিলেন সামান্য এক পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী। সেখান থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। অনুব্রতর লগ্নি করা একাধিক কোম্পানিতে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। নাম যুক্ত রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের সঙ্গেও।

তাহলে কি অনুব্রতর বেনামি সম্পত্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে রেখেছেন অনুব্রত? কেষ্টর ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধানে জোরকদমে চারদিকে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। 

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles