মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, বছর শেষে বিশ্বকাপ, তাই আইপিএলে (IPL 2023) ভারতীয় বোর্ডের চুক্তির আওতায় থাকা বোলারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিসিসিআই। তাঁদের যাতে বেশি চাপ না দেওয়া হয়, ফ্র্যানচাইজিদের সেই নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও এক দিনের বিশ্বকাপ, এই দুই প্রতিযোগিতায় যাতে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বোলারদের পাওয়া যায়, তার জন্য এই নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
সুস্থ প্লেয়ার চাই বোর্ডের
৩১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ১৬ তম আইপিএল (IPL 2023)। এবার হোম ও অ্য়াওয়ে ফর্ম্যাটে আইপিএল হওয়ায় উন্মাদনাটা আরও বেশি। সমর্থকদের মধ্যে দেখা গেছে টিকিট নিয়ে টানাটানি। তবে বিশ্বকাপের বছরে বোর্ডের চিন্তা বাড়াচ্ছে প্লেয়ারদের ফিটনেস। এই মর্মে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে কড়া নির্দেশ দিল বোর্ড। বর্তমানে ঠাসা ক্রীড়াসূচি রয়েছে ভারতীয় দলের। ২০২৩ সালের তিন মাসের মধ্যে তিনটে দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলা হয়ে গিয়েছে। তিনটে হোম সিরিজ হওয়ায় সুবিধা পেয়েছে ভারত। এবার দু মাস ব্যাপী আইপিএলের আসর। তাই বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানানো হয়েছে ভারতীয় বোলারদের দিয়ে অতিরিক্ত বল না করাতে। না হলে বিশ্বকাপের আগে প্লেয়াররা চোট আঘাতে জর্জরিত হতে পারে।
বোর্ডের বারণ
আইপিএলের (IPL 2023) সব ফ্র্যাঞ্চাইজির ফিজিওদের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিও নীতিন প্যাটেল ও ভারতীয় দলের ফিজিও সোহম দেশাই। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, ১২ জন ভারতীয় বোলারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। আইপিএলের সাতটি দলে খেলেন এই ১২ বোলার। তাঁরা হলেন, গুজরাট টাইটান্সের মহম্মদ শামি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মহম্মদ সিরাজ, কলকাতা নাইট রাইডার্সের উমেশ যাদব ও শার্দুল ঠাকুর, চেন্নাই সুপার কিংসের দীপক চাহার, দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল, রাজস্থান রয়্যালসের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যুজবেন্দ্র চহাল এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
আরও পড়ুন: রানাতেই ভরসা পণ্ডিতের! নীতীশকেই অধিনায়ক বাছল নাইটরা, প্রথম ম্যাচ কবে?
এক বোর্ড কর্তা বলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে বলা হয়েছে ভারতীয় বোলারদের আলাদা করে দেখতে। আইপিএল (IPL 2023) দলগুলোকে বলা হয়েছে বোলারদের নেটে বল না করাতে। ওদের শক্তি বাড়ানো এবং বাকি জিনিসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্লেয়ারদের ফিল্ডিং ড্রিল করানো যাবে, তবে সেটা মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ওদের পুশ করতে পারবে না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের পর ওদের বলের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। বিসিসিআই পরের আপডেট নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours