মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই বর্ধমানসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কয়েক'শো স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে নাজেহাল শিক্ষা দফতরের পড়ুয়ারা। সেই আবহেই এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য কেউ! এমন ‘ভুতুড়ে কাণ্ডে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। কে বা কারা পুরসভার টাকা গায়েব করলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখানেও কি তাহলে ট্যাবের মতো প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে? সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে। যদিও বিজেপির দাবি পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।
ঠিক কী অভিযোগ?(Balurghat)
বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তিনটি চেকের মাধ্যমে সেই টাকা তুলেছে প্রতারকরা। কিন্তু, অশোকের দাবি, যে যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে, তা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। তার পরও কীভাবে ওই চেকগুলির মাধ্যমে টাকা তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অশোকের দাবি, ৫৩৭৭১, ৫৩৭৭২ এবং ৫৩৭৭৩ এই তিনটি নম্বরের চেক ব্যাঙ্কে (Bank) জমা দিয়ে পুরসভার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু চেকগুলি এখনও পুরসভার চেক বুকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ তা দিয়েই ধাপে ধাপে ১৪ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরসভার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অশোক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি পুরসভার টাকা ফেরত না আসে তবে আইনি পদক্ষেপ করব। বালুরঘাট থানা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কী বললেন?
বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর হতেই ব্যাঙ্কের বালুরঘাট (Balurghat) শাখার ম্যানেজার বিক্রান্ত কুমার বলেন, ‘‘এই শাখায় এমন কোনও অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে। কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
সরব বিজেপি নেতৃত্ব
এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহরের সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি এই সরকার চোরের সরকার। পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর দিয়ে দিতে চাইছে। এই ঘটনায় পুরসভার সবাই জড়িত।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours