মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট - হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বহু জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে এখনও অনেকের জমির কাগজ ও নানা নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টাকা দেরিতে ঢুকছে। তাই প্রতিদিনই হিলি ও বালুরঘাটে জমি দাতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর সুযোগেই বেশকিছু দালাল চক্রের সক্রিয় হয়ে এমন কাজ করছে বলে এক অডিও কল রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। যদিও বা ওই অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
অডিও কলে কী রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)
ওই অডিও কলে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক জমিদাতাকে ফোন করেছেন। ওই জমিদাতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ওই জমিদাতা ব্যক্তির অভিযোগ, ঘুষ দিলে টাকা ঢুকবে। শুধু একজনই নয়, এমন একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ফোন প্রশাসনের কোনও কর্মী নয়। এর পিছনে দালালচক্র কাজ করছে বলেই মত প্রশাসনের একাংশের। তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগকারী জমিদাতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল। জমি দেওয়ার টাকা দ্রুত আমার অ্যাকাউন্টে দেবে বলে সেই ব্যক্তি জানিয়েছিল। আমাকে ফোন করে জানায় যে আজ কালের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। তাই ওই ব্যক্তিকে যেন ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা ঘুষের টাকা। তাই প্রমাণ রাখার জন্য ওই কল রেকর্ড করেছি। আর কারও কাছে এই ধরনের টাকা যাতে না চাওয়া হয়, তাই আমি অভিযোগ দায়ের করব।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে এখনও এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এমনটা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরব সুকান্ত
এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে টাকার গল্প থাকে সেখানেই এক প্রকার দালাল চক্র শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা নিয়েও দালালি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সঠিকভাবে নজর দিচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার, প্রশাসন নিশ্চয়ই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বিজেপির কাজ। আসলে বিজেপির মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours