মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। একইসঙ্গে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে কয়েক কোটি টাকা লুট করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আশিসকুমার দত্ত নামে সোনার দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দোকানের এক কর্মীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোকানের মালিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।
ঠিক কী ঘটেছে? (Dacoits)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানের মালিক আশিসবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। খড়গপুরে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন তিনি এসে দোকান খোলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরে। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে একজন আশিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। ডাকাতিতে (Dacoits) বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশান উঠতে শুরু করে।
কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার? (Dacoits)
খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ডাকাত দলের সদস্যদের। ভিনরাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বাড়ি বিহারের বৈশালী এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours