Asian Games: চিনের অসহযোগিতা, অনুশীলনের সঙ্গী পাননি! রুপো জিতে চোখের জলে ভাসলেন রোশিবিনা

গেমসের আসরে অরুণাচলের যে তিন বন্ধুকে চিন আসতে দেয়নি, তাদেরই পদক উৎসর্গ রোশিবিনার
F7FKRqcbIAAEi4O
F7FKRqcbIAAEi4O

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের বাসিন্দা, তাই ভারতের তিন অ্যাথলিটকে ভিসা দেয়নি চিন। তাঁদের সঙ্গেই উশুর অনুশীলন করতেন এশিয়ান গেমসে রুপো জয়ী রোশিবিনা। খেলা শেষে সেই তিন বন্ধু ও পরিবারকে পদক উৎসর্গ করলেন মণিপুরের মেয়ে। ৬০ কেজির ফাইনালে উঠে আগেই ইতিহাস তৈরি করেছিলেন রোশিবিনা। আজ পর্যন্ত উশুতে এর আগে একজনই ফাইনালে উঠেছেন। ২০১০ গুয়াংঝু গেমসে পদক পেয়েছিলেন ওয়াংখেম সন্ধ্যারানি দেবী। রোশিবিনার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

উশু নিয়ে বিতর্ক

এশিয়ান গেমস শুরুর আগে থেকেই ভারতের উশু নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। অরুণাচল প্রদেশের তিন ক্রীড়াবিদকে ভিসা না দেওয়া নিয়ে ভারত-চিনের কূটনৈতিক লড়াই অনেক দূর গড়িয়েছে। সেই উশুতেই রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন নাওরেম রোশিবিনা দেবী। এশিয়ান গেমসে তিনি এসেছিলেন অনুশীলনের সঙ্গীকে ছাড়াই। অনুশীলনে রোশিবিনার সঙ্গী হলেন ওনিলু তেগা। তাঁরও এশিয়াডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অরুণাচলের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁকে ভিসা দেয়নি চিন। সেই প্রসঙ্গে রোশিবিনা বলেছেন, “যে তিন বন্ধুকে এখানে পেলাম না, তাদের জন্যে এই পদক উৎসর্গ করছি। আমি সব সময় ওনিলুর সঙ্গে থাকি। একসঙ্গে অনুশীলন করি। আমরা খুব ভাল বন্ধু। এ ধরনের বড় প্রতিযোগিতায় পাশে পরিচিত কাউকে পেলে ভাল লাগে।”

 সপ্তাহে একদিন বাড়িতে কথা হয়

ছোট থেকে জ্যাকি চ্যানের সিনেমা দেখে বড় হয়েছেন রোশিবিনা। চিনের মার্শাল আর্টে প্রথাগত ‘পাম হোল্ড ফিস্ট স্যালুট’ তাঁর খুব প্রিয়। তিনি বলেছেন, “আমার প্রথম থেকেই ওই স্যালুট খুব ভাল লাগে। তাই উশু ছাড়া আর কোনও খেলাকে বেছে নিতাম বলে মনে হয় না।” 

মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কাওয়াফাই মায়াই লেইকেই গ্রামে বাড়ি রোশিবিনার। রাজধানী ইম্ফল থেকে গাড়িতে ঘণ্টা খানেকের দূরত্ব। মণিপুরে হিংসার জেরে মে মাস থেকে বাড়ি ফেরেননি রোশিবিনা। এমনকি অনুশীলনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁর কথা বলাও নিষেধ ছিল। শুধুমাত্র রবিবার হলে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান রোশিবিনা।

আরও পড়ুন: লক্ষ্যভেদ! শ্যুটারদের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে ষষ্ঠ সোনা ভারতের

কষ্টের জীবনে উশুতে সাফল্যই তাঁর পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারে সেটা জানেন তিনি। তাই পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়েই চিনে পা রেখেছিলেন। দেশের জন্য পদক জিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মণিপুরের ক্রীড়াবিদ। পরিবারের সঙ্গেও কথা হয় রোশিবিনার। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘‘সোনা জিততে পারলাম না বলে খারাপ লাগছে। আরও পরিশ্রম করব। সোনা জিতে তার পর ছাড়ব।’’ 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles