মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই সপ্তাহ ধরে আসানসোলের (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Nazrul University) জঙ্গি আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ। আর তার জেরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। ফলে, টিএমসিপি-র ছেলেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপাচার্যকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ।
পদ ছাড়তে চাইছেন উপাচার্য! (Asansol)
সামান্য একটি ইস্যুকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Asansol) টানা আন্দোলন চালাচ্ছে টিএমসিপি। দুসপ্তাহ হতে চলল পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এরইমধ্যে সোমবার পড়ুয়া এবং টিএমসিপি নেতৃত্বে উপাচার্যকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই বিক্ষোভের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছিলেন উপাচার্য। মঙ্গলবার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি তিনি। বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করছেন। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। উপাচার্য বলেন, "সোমবার যে ভাবে আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ করা হয়েছে, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে, তাতে আমি আতঙ্কিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই ভয় পাচ্ছি। বাড়িতে বসে বিশ্ববিদ্যালযয়ের সমস্ত কাজ করছি। পদত্যাগ করতে চেয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি।"
আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু
কেন আন্দোলন?
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা বলেন, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Asansol) বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দিতে হবে। কখন,কোথায়, কী কারণে এই টাকা খরচ করা হয়েছে-তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে 'বহিরাগতদের আন্দোলন' বলে অভিহিত করে কয়েকদিন আগে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি। প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছিলেন সমিতির সদস্যেরা। পরে, তাঁরা আন্দোলন তুলে নিলেও টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলন চলছেই। সোমবারে উপাচার্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় (Kazi Nazrul University) চত্বরে অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা কালো ব্যাজ পরেছিলেন। কবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পড়ুয়ারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours