মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট মিটলেও কিছুতেই কমছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান ও উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খানাকুলের পোল-১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।
ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)
পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে। খবর পেয়ে জমায়েত হন তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল (Arambagh) থানার পুলিশ বাহিনীও। পুলিশের সামনেও চলে বচসা। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর খানাকুলের পোল ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন বনাম উপপ্রধান সেখ সাবির আলির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বুধবার সেই দ্বন্দ্বের রেষ গিয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। প্রধানের অভিযোগ, উপপ্রধান সেখ সাবির আলি তার কাছের কয়েকজনকে বেআইনিভাবে পঞ্চায়েতের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তা হতে না দেওয়ায়, উপপ্রধান ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর রুমে ঢুকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে, তাঁকে চেয়ার থেকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা উপপ্রধানের অভিযোগ, প্রধান সাবিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী দুজনে মিলে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করছে। এমনকী পঞ্চায়েতে টেন্ডারের শেষ দিন হলেও প্রধান নিজের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অন্যদের টেন্ডার কপি জমা নেয়নি। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আর কিছু ঘটেনি।
আরও পড়ুন: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?
তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন প্রধান অনুগামী তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। উপপ্রধানকে তাঁর অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিশ বাহিনী । তারাই গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীদের। তবে, তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের প্রকাশ্যে এহেন দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসক দল। খানাকুল ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। যদি কেউ কোনও দোষ করে তা খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours