মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু'দশক আগে আইপড ছিল স্টেটাস আইকন। এক দশক আগেও এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে আইপড ছিল স্বপ্ন। পকেটে আইপড থাকলে বন্ধুদের কাছে গুরত্বও বেড়ে যেত অনেক। একটি ছোট যন্ত্রে ভরা থাকত রবীন্দ্রসংগীত থেকে রক মিউজিক। একগুচ্ছ গান শুনতে শুনতে পথ চলা শুরু। "দিনের শেষে,ঘুমের দেশে" হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গীও ছিল আইপড। কিন্তু এখন স্মার্ট ফোনের যাদুতে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসছে আইপডের আধিপত্য। মুঠোফোনে গান শোনা থেকে সিনেমা দেখা সবই হয়ে যাচ্ছে। তাই আকর্ষণ হারাচ্ছে আইপড। তাই আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপেল ঘোষণা করেছে যে,আর আইপড টাচ তৈরি করবে না তারা। বন্ধ করা হচ্ছে আইপডের বিক্রি। এটিই লেটেস্ট আইপড ছিল।
প্রথম আইপড লঞ্চ হয়েছিল ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর। আইপড প্রথম বাজারে এনেছিলেন স্টিভ জোবস। সেসময় বিশ্বের বাজারে অ্যাপল কোম্পানির অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। সেই দুর্দশার মাঝে অ্যাপলের হাল ফিরিয়েছিল আইপড। iPod অ্যাপলকে একটা প্রায় দেউলিয়া সংস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থায় পরিণত করেছিল। তবে সে দিন আর নেই। অ্যাপলের আইফোন বাজার দখল করে নিয়েছে। তাই কোম্পানি জানিয়েছে আপাতত যে টুকু স্টক আছে, তা থেকেই আইপড টাচ বিক্রি হবে। স্টক ফুরিয়ে গেলেই বিক্রি শেষ।
২১ বছরের ব্যবধানে, অ্যাপল আইপডের বেশ কয়েকটি নতুন নতুন ভার্সান এনেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে আইপডের সমস্ত কাজ স্মার্টফোনেই উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আর আলাদা করে আইপডের চাহিদা নেই। ক্লিক হুইল-সহ আইপড ক্লাসিক ২০১৪ সালেই বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাপেল। এরপর ২০১৭ সালে, অ্যাপেল iPod Nano এবং iPod শাফল তৈরি বন্ধ করে দেয়।
অ্যাপলের আইপডের শেষ মডেলটি ২০০৭ সালে বেরিয়েছিল। সেই মডেলের নাম ছিল ‘আইপড টাচ’। টাচ স্ক্রিনের সেই আইপডে শুধু গান নয়, থাকত ভিডিও, ছবি ও বিভিন্ন অ্যাপের বন্দোবস্ত। ৬৪ গিগাবাইট জায়গা ছিল সেই আইপডে। আইপড টাচ বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারে রেখেছিল অ্যাপেল। শখের কারণে অনেকে এখনও আইপড কিনতেন। তবে ধীরে ধীরে তার সংখ্যা কমেছে। তাই এবার বিদায়ের পালা।
+ There are no comments
Add yours