World Hindu Congress: ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে’’, তাইল্যান্ডে বললেন সঙ্ঘ প্রধান

ব্যাংককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে ‘যত মত তত পথ’-এর কথা শোনালেন মোহন ভাগবত
mohan_bhagwat
mohan_bhagwat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে (World Hindu Congress) শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের 'যত মত তত পথ'-এর কথাই শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের মুখে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় এদিন মোহন ভাগবতের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র বিশ্ব হল একটি পরিবার। প্রত্যেককে আর্য তৈরি করতে হবে আমাদের।’’ সত্য এবং অহিংসা ব্রতের কথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা সর্বত্র যাব, আমরা প্রত্যেক জনের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহমত হতেও পারেন অথবা নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ রাখব।’’

ধন বিজয় ও অসুর বিজয় কী জিনিস?

প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় 'ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন'। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন এবং তা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্মই যে হল কর্তব্যবোধ সেকথা আবারও বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে স্মরণ করান মোহন ভাগবত। এদিন মোহন ভাগবত আবারও একবার বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ সাক্ষী থেকেছে ধন বিজয়ের অর্থাৎ (বস্তুগত দখলের) এবং অসুর বিজয়ের অর্থাৎ আগ্রাসনের।’’ সঙঘ প্রধান বলেন, ‘‘কোনও কিছু দখল করার উদ্দেশ্য হল পার্থিব সুখ এবং এই কারণেই জনগণ একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে। আমরা এর সাক্ষী রয়েছি। আমরা অসুর বিজয়েরও (আগ্রাসন) সাক্ষী রয়েছি। যা ভারতীয় সমাজকে পাঁচ হাজার দুশো বছর ধরে শাসন করেছে। তারা আমাদের ভূমিকে ধ্বংস করেছে। আমরা আড়াইশো বছর ধরে সাক্ষী রয়েছি ধন বিজয়ের (বস্তুগত দখল) যখন আমাদের দেশকে লুট করা হয়েছে।’’

'ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন'-এর চেয়ারম্যান কী বললেন


আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সে নিয়েই বক্তব্য রাখেন স্বামী বিজ্ঞানানন্দ, যিনি কিনা 'ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন'-এর চেয়ারম্যানও বটে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) প্রধান উদ্যোক্তাও তিনি। এদিনের ভাষণে বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ব্যাংককে এবং সারা পৃথিবীতে যত হিন্দু রয়েছেন, প্রত্যেকেই সাক্ষী থাকবেন ওই অনুষ্ঠানের। সেদিন কীর্তন, ভজন, পুজো এবং মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মুহূর্তটি পালন করা হবে।’’ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘অযোধ্যা থেকে আমাদের জন্য প্রসাদও আসবে ওইদিন। রামমন্দিরের ছোট রেপ্লিকা এখানে (ব্যাঙ্ককে) স্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, 'ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং এর সদর দফতর হল নয়াদিল্লিতে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles