মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ভাষাই জাতীয় ভাষা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও আমারই। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, এই জগৎ বৈপরীত্যে ভরপুর। এর মধ্যে বিভিন্ন মতামত, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একসঙ্গে সামলানোর (Managing Dualities) ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে ভারতের। বৈচিত্র্যকে কীভাবে সঠিকভাবে পরিচালন করা যায়, কীভাবে তার মধ্যেও একতাকে অটূট রাখা যায়, সেই কৌশল শেখার জন্য ভারতের দিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব। কারণ সেখানেই বিরাজ করছে বৈচিত্রের সহাবস্থান।
আরএসএ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, এমন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে, যেগুলি আমাদের কখনওই বলা হয়নি। ঠিকঠাক ভাবে শেখানোও হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের নিজস্ব প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে বৈদেশিক শক্তির আক্রমণের কথা বলা হয়েছে ইতিহাসে। এই শক্তি মূলত এসেছিল উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে। আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা অযথা সম্প্রদায় এবং এই জাতীয় বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিই। এগুলি মানুষে মানুষে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন : ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত
ভাগবত বলেন, মানুষে মানুষে ভাষা, পোশাক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ছোট ছোট পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তাঁদের একটা বড় মন থাকতে হবে, যাতে এই পার্থক্যগুলি আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। এর পরেই সংঘ প্রধান মনে করিয়ে দেন, এই দেশের সব ভাষাই জাতীয় ভাষা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষই আমার। আমাদের এমন ভালবাসাই প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার ভাগবত নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে তেরঙা উত্তোলন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন তোলা হয় তেরঙা।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আরএসএসের সদর দফতরে উড়ত কেবলই গেরুয়া পতাকা। সম্ভবত এবারই প্রথম উড়ল তেরঙা। এর ঠিক একদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতেও গেরুয়ার বদলে তেরঙার ছবি দিয়েছিল আরএসএস। বদলেছিল সংঘ প্রধানের ডিপির ছবিও। এদিন আরএসএসের সদর দফতরে যান নাগপুর জেলা কালেক্টর আর বিমলা (R Vimla)। ভাগবতকে তিনি উপহার দেন একটি জাতীয় পতাকা।
আরও পড়ুন : দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত
+ There are no comments
Add yours