মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। ফ্রান্স থেকে ২৫০টি যাত্রিবাহী এয়ারবাস বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা (Tata) গোষ্ঠী পরিচালিত এই বিমান সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। দুই রাষ্ট্র প্রধানই এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ারবাস সংস্থার এই চুক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চুক্তিকে ভারত-ফান্স সম্পর্কের প্রতীক বলে অভিহিত করেছেন। আর মাক্রঁ জানান, ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এই চুক্তি। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টাটা সন্সের্ চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন, এয়ারবাসের সিইও গিয়োম ফওরি, টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন রতন টাটা, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
নরেন্দ্র মোদি...
প্রসঙ্গত, ভারতের বাজারে কেবল বিক্রি নয়, বিশ্বের বড় শিল্প সংস্থাগুলির উৎপাদনও যাতে ভারতেই হতে পারে, সেজন্য মেক ইন ইন্ডিয়া স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে তিনি গিয়েছিলেন ফ্রান্সের তুলুসে, এয়ারবাসের কারখানায়। সেখানে ভারতে বিমান নির্মাণ কারখানা গড়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ডিয়ার নরেন্দ্র বলে সম্বোধন করেন মাক্রঁ। তিনি বলেন, ভারতের হাত ধরে যৌথভাবে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে ফ্রান্স। মহাকাশ, সাইবার, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, বায়োটেক, পরমাণু শক্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে গিয়েছে ফ্রান্স। কোভিড অতিমারির শেষে এই সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেই আশাবাসী ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুুন: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের
ভারত-ফ্রান্স এই চুক্তির (Air India) জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এই চুক্তি ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে সাফল্য ও আকাঙ্খার প্রতিফলন। অসামরিক বিমান পরিবহণ ভারতের বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের জাতীয় পরিকাঠামো কৌশলের অন্যতম অংশ হল অসামরিক বিমানবন্দর। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ বাজার হতে চলেছে। এজন্য আগামী ১৫ বছরে দু হাজারেরও বেশি বিমান লাগবে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে এই চুক্তি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours