মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। তবে পরবর্তী নেতা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন বরিস জনসন।
‘‘কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে’’, এই বাক্যটি দিয়েই বৃহস্পতিবার বক্তৃতা শুরু করেন জনসন। তাঁর সরকারি বাসভবন ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে তখন অসংখ্য সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন বরিস মন্ত্রিসভার সেই সব সদস্য, তখনও যাঁরা ইস্তফা দেননি। উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারিও। এরমধ্যেই নিজের ব্যর্থতার কথা জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বললেন, "ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই আমি তাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছি। কিন্তু দলে আমার কথা ও চিন্তাধারা বোঝাতে ব্যর্থ আমি। তাই পৃথিবীর সব থেকে ভাল চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?
বরিস এবং তাঁর আগে ৫০ জনেরও বেশি ক্যাবিনেট সদস্যের ইস্তফায় দলের অন্দরে সঙ্কট দেখা দিলেও দেশ আপাতত কোনও রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ছে না। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিলে তাঁর উত্তরসূরিকে বেছে নিতে পারবে ক্ষমতাসীন দল। এই নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দল ও দেশ চালানো হবে। ইস্তফা দিয়ে এদিন বরিস জানান, আগামী ‘অটাম’ (অগস্ট-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে প্রস্তুত তিনি। তার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচন করে ফেলতে পারবে দল। তবে বরিস চাইলেও দলের অনেকেই আর তাঁকে চাইছেন না। কিন্তু এখনই নেতা নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামী সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে যতদিন না হচ্ছে ততদিন বরিসের নেতৃত্বেই নতুন মন্ত্রিসভা কাজ করবে।
এর মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন বরিস। বরিসের নতুন মন্ত্রিসভায় ওয়েলশ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবার্ট বাকল্যান্ড। তিনি বলেন, বরিস জনসন মন্ত্রিসভাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাবেন।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বরিসের নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভা কাজ করবে। তবে আর্থিক নীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে না। এসব সিদ্ধান্ত নিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours