মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM Race) বরিস জনসন (Boris Johnson)। এরপরে কার মাথায় উঠবে প্রধানমন্ত্রীর খেতাব তা নিয়েই এখন বিশ্বজোড়া চর্চা। ভোটাভুটির প্রথম রাউন্ডের পরে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে রইলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১৯ শতাংশ ভোট। লিজ ট্রস ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন (Liz Truss)। চতুর্থ স্থানে কেমি বেদেনোক ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, টম টুজেন্ট ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রাভারম্যান ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছেন। এলিমিনেশন রাউন্ডে, দুই প্রার্থী, নাদিম জাহাভি এবং জেরেমি হান্ট যথাক্রমে ৭ এবং ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন
দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতি রাউন্ডে যারা সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তাঁরা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যাবেন। চলতে হবে ভোট। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুজনকে চূড়ান্ত করতে হবে। তারপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এরপরে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?
বর্তমানে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান।
কে এই ঋষি সুনক?
বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের (Infosys) প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) জামাই এই ঋষি সুনক। ১৯৮০-র ১২ মে ব্রিটেনের বন্দর শহর সাউদাম্পটনে (Southampton) জন্ম হয় ঋষি সুনকের। অক্সফোর্ড (Oxford) ও স্ট্যান্ডফোর্ড (Stanford) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ঋষি রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০১৫-য় রিচমন্ড ইয়র্কশায়ার (Richmond Yorkshire) থেকে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। বরিসের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। ২০০৯-এ বিয়ে করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতাকে। দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। একটা সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে বরিসের পাশে ঋষিকেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায়। একাধিক বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে (Partygate scandal) নাম জড়ায় ঋষি সুনকের।
দলের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজতেও কনজারভেটিভ পার্টিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। যে প্রার্থীরা ৩০ এর কম ভোট পেয়েছেন তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কেবলমাত্র সেই প্রার্থীরাই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন, যারা অন্তত ৩০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন। ভোটের আগে সব প্রার্থীদের পার্টির কর্মীদের সামনে বক্তৃতা রাখার জন্যে ১২ মিনিটের সময় দেওয়া হয়।
শেষ রাউন্ডের শেষে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours