মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তবুও ধরা যাচ্ছিল না নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে। অবশেষে রবিবার দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল গ্রেফতার করল ওই জঙ্গি নেতাকে। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহী মামলা। ইসলামিক মুভমেন্ট নামের এক উর্দু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল হানিফ। প্রচুর মুসলিম যুবককে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কে এই হানিফ শেখ
স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া-র (সিমি) বিভিন্ন কার্যকলাপ সামলাতেন হানিফ শেখ। ২০০১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগও আনা হয়। হানিফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা দায়ের হয়। তার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। হানিফ শেখ ১৯৯৭ সালে মারুল জলগাঁওতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। সে বছরই তিনি সিমি-তে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর উৎসাহ দেখে তৎকালীন সিমি প্রধান সহিদ বদর ২০০১ সালে ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’-এর উর্দু সংস্করণের হানিফকে সম্পাদক করে দেন। সেখানে হানিফের একাধিক লেখা ‘যুব সমাজ’-এ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির
কীভাবে গ্রেফতার হানিফ
শুরুতে হানিফের বিষয়ে তেমন তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে। সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এ লেখা সম্পাদকীয় কলমে 'হানিফ হুদাই'নামই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র লিঙ্ক। এই সূত্র ধরেই দেশেরে নানা প্রান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ হানিফ নাম নিয়ে মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছে হানিফ শেখ। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পাতা হয় ফাঁদ। ২২ ফেব্রুয়ারি গোপন আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই হানিফকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে বহু মুসলিম যুবককে বিপথে নিয়ে গিয়েছে হানিফ। অন্তরালে থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের যেখানেই সভা হত সেখানে হাজির হতেন তিনি। শুধু তা-ই নয় সংগঠনের জন্য টাকার জোগানও দিতেন হানিফ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours