মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্ত সাপেক্ষে তৃণমূলের (tmc) সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দুবাই যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার প্রেক্ষিতেই তাঁদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।
কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় অভিষেক, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকার। অভিষেক ও রুজিরাকে আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিষেকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই যাবেন বলে অনেক আগেই ইডিকে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার পরেও ইডির পক্ষ থেকে কোনও সাড়শব্দ মেলেনি বলে অভিযোগ। ৩ জুন, শুক্রবার দুবাই যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার ঠিক আগের দিন তিনি দুবাই যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল সব ধরনের তদন্তে সহযোগিতা করবেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী। সেই মতো ইডির তদন্তে অভিষেক সব রকম সহযোগিতা করছেন বলে দাবি অভিষেক ঘনিষ্ঠদের। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আশঙ্কা করা হয়, অভিষেক ব্যানার্জি বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। আদালত ইডির এই যুক্তি খারিজ করে মন্তব্য করে, অভিষেক ব্যানার্জি একজন সাংসদ। কয়লাকাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেও তিনি একাধিকবার বিদেশ যাত্রা করেছেন। তাই ইডির এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?
তবে আদালত অভিষেককে জানিয়েছে, মামলাকারীকে বিমানের টিকিট এবং দুবাইয়ের কোথায় তাঁরা থাকবেন, সেই ঠিকানা ইডির কাছে দিতে হবে। যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, সেই হাসপাতাল এবং থাকার জায়গার ফোন নম্বরও জানাতে হবে। এর সাহায্যেই ইডি যাতে তাঁদের ওপর নজর রাখতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। ১০ জুনের মধ্যে তাঁকে ফেরত আসতে হবে বলেও শর্ত দেয় আদালত।
আদালত জানিয়েছে, রাইট টু লাইফ মানে রাইট টু গেট প্রপার ট্রিটমেন্ট পাওয়া। তিনি নিজের পছন্দ মতো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। সেটা থেকে তাঁকে আটকানো যায় না। নোটিস পাঠানোর পর যদি তিনি যেতেন, তাহলে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি আসত বলেও জানানো হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours