মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।
ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার
সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন 'দুর্নীতি' মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু'জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর
সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours