মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়ল পুলিশের। জেলায় জেলায় শুরু হল পুলিশি অভিযান। আর সেই অভিযানে নেমে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একের পর এক বিস্ফোরণ না হলে এত বাজি মজুত রয়েছে তা জানা যেত না।
দত্তপুকুর এলাকা থেকে কত বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?
সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েতের কাঠুরিয়া এলাকায় ইবাদত মণ্ডল নামে একজনের বাড়িতে প্রচুর বাজি (Fire Crackers) মজুত ছিল। বিষয়টি জানার পরই দত্তপুকুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। প্রচুর বাজি সেখান থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ইবাদতের খোঁজ মেলেনি। তবে, জাকির হোসেন নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ প্রায় ২০০ কুইন্টাল। এত পরিমাণ বাজি বাড়িতে কীভাবে মজুত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২
কৃষ্ণনগর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল পুলিশ
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালিনগরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে। ২৫ পেটি বাজির আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা ঘটনার পর থেকে পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিছুদিন আগেই রাজ্যের এগরা সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। কালিনগরে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনায় একপ্রকার ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তবে, কীভাবে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) জমায়েত করা হয়েছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours