মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিনাম সংকীর্তন নয়, সানাইয়ের সঙ্গে ঢাক ঢোল ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন নাতি-নাতনিরা! শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী রইলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। অনেকে ভেবেছিলেন বোধহয় বরযাত্রীর দল আসছে। পরে, ভুল ভাঙে। ১০০ বছর পেরিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেছে দুবরাজপুরের রবিলাল বাদ্যকর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আছ়ড়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। জাঁকজমকভাবে শোভাযাত্রা করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।
পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Birbhum)
যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবুও শতায়ু বৃদ্ধের মৃত্যুতে দেখা গেল এক অন্য ছবি। ব্যান্ড বাজিয়ে জাঁকজমকভাবে শত বছরের বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা হল বক্রেশ্বর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, ১৮ নভেম্বর রাতে দুবরাজপুর ব্লকের (Birbhum) গৌরগঞ্জ গ্রামের রবিলাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর চারপুত্র, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বৃদ্ধের ইচ্ছা মতো গ্রামের ব্যান্ড পার্টি ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শবদেহ বক্রেশ্বর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত বৃদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে মিতন বাদ্যকর বলেন, "শতবছর পূর্ণ হওয়ায় এমন আয়োজন।" এক প্রতিবেশী আকাশ মাল বলেন, "এদিন গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।"
আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?
বৃদ্ধের ইচ্ছেতেই এই আয়োজন
শ্মশান যাত্রার (Birbhum) জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় ব্যান্ড,সানাই এবং হরিনাম সংকীর্তনের। সেই যাত্রায় শামিল হন বহু মানুষ। হরিনামের সঙ্গে এইরকম এক আয়োজনে শেষকৃত্য হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা তল্লাটে। ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, রবিলালের শেষ ইচ্ছে ছিল এমনটাই। তাই, তাঁর ইচ্ছাতেই রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলেন নাতি-নাতনিরা। এই শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় করেছিল জনতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours